তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥ ভোলার তজুমদ্দিনে গভীর রাতে কৌশলে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজনকে আটক করে। মামলার এজাহারে জানা যায়, বুধবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত অনুমান সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আড়ালিয়া গ্রামের মোঃ মনিরের ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া (১৩) ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় একই বাড়ির ৩ সন্তনের জনক মো. শাহিন কৌশলে ঘরের জানাল দিয়ে ওই ছাত্রীর পা ধরে টান দেয়। ছাত্রীর পিতা লতা পাইপের মেশিনে দিয়ে পুকুর ও জামিনে পানি সেচের কাজ করে বাড়ি ফিরতে রাত হয়। পা ধরে টান দিলে ছাত্রী তার বাবা মনে দরজা খুলে দিলে শাহিন তার মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে যায় শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় জাহাঙ্গীরের সহযোগিতায়। এ সময় প্রতিবেশী আব্বাসউদ্দিন দেখে ফেললে তারা পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। এ ঘটনায় শ্লীলতা হানির শিকার ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা মামলা দায়ের করলে পুলিশ সহযোগী জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করতে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা নং ০৯। তজুমদ্দিন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি/তদন্ত) এনায়েত হোসেন বলেন, মামলা দায়েরের পর তদন্ত চলছে। প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
Leave a Reply